ডাটা এন্ট্রি কি | অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয়

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ডাটা এন্ট্রি কি | অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয় নিয়ে আলোচনা করব।

ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, গৃহিণী, অবসরপ্রাপ্ত মানুষসহ যেকোন ধরণের পেশার মানুষের ঘরে বসে উপার্জন করার সহজ উপায়গুলোর একটি হলো ডাটা এন্ট্রি। এটির অপারেটর হিসেবে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই কাজ করা সম্ভব। ডাটা এন্ট্রির কাজ বলতে physical data কে computer এ ডিজিটাল এন্ট্রি করা, আর সেজন্য কম্পিউটার ব্যবহারে খুব ভালো দক্ষতা প্রয়োজন।

এই কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে, অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা অনলাইন এবং অফলাইনে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কাজ দিয়ে থাকে। আর অপারেটররা তাদের সুবিধামত পার্ট টাইম এবং ফুল টাইমের ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ডাটা এন্ট্রি বলতে কি বুঝায় অথবা এর কাজ কি?

ডাটা এন্ট্রি কি | অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয়,ডাটা এন্ট্রি কি? ডাটা এন্ট্রি করে আয় করবেন কীভাবে?,ডাটা এন্ট্রি কি? Data Entry কত প্রকার এবং কিভাবে শুরু করবেন?,ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ইনকাম,ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইনে আয় করবেন কিভাবে?

ডাটা এন্ট্রি কি?

ডাটা এন্ট্রি জবকে অনেকে লেখালেখিতে সীমাবদ্ধ ভাবলেও বাস্তবিক অর্থে এটি বিস্তৃত। যেখানে একসাথে অনেক দক্ষতার কাজ করা যায়। এক্সপার্ট এন্ট্রিয়ার হলেতো কাজের শেষ নাই। আর এক্সপার্ট না হলেও সমস্যা নাই, ফটোশপ, ই-মেইল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স আইডিয়া, পেইড ডিজাইনসহ কতিপয়ের কাজ শিখে নিলে যেকোন একটি দিয়েই কাজ শুরু করা যাবে।

কম্পিউটারের মাধ্যমে ডাটা কে আপডেট করাই হলো ডাটা এন্ট্রি। বিশ্লেষণ করে বলতে গেলে টাইপিস্টের মাধ্যমে হার্ড কপির ডাটাকে সফ্ট কপিতে রূপান্তর করে নির্দিষ্ট স্থানে জমা রাখা। আর Data বলতে Information, File, object, media ইত্যাদি হতে পারে। যাদের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির এ কাজগুলো করা হয় তাদেরকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর অথবা এন্ট্রিয়ার হিসেবে সম্বোধন করা হয়।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর যে কেউ চাইলেই হতে পারে অথবা ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো যে কেউ করতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। কেননা এ কাজে একজন মানুষকে যেকোন কিছু করতে হলে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে এখানে ও দক্ষতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে।

ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার ও কি কি?

ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে হলে অবশ্যই প্রকারভেদ সম্পর্কেও জেনে নেওয়া আবশ্যক। কেননা, যে ডাটা এন্ট্রির অপারেটর হতে চায় তার জন্য শাখা-প্রশাখা, প্রকার, শেখার উপায়, উপার্জনের উপায় ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ আবশ্যক। প্রশ্ন আসতে পারে ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার ( Types Of Data Entry) অথবা ডাটা এন্ট্রি কত ধরণের হয়ে থাকে।

কম্পিউটারের মাধ্যমে হার্ড কপিকে সফট কপিতে রূপান্তরের উপায়টা আজকের যুগের সহজ বিষয় গুলোর একটি। যেহেতু কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে কম্পিউটারে আলাদা আলাদা ডাটা এন্ট্রি করা হচ্ছে সেহেতু এর কাজের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রকার দেখা যায়। যেমন :-
★ MS-excel Data Entry.
★ Spelling Checking.
★ Job Posting.
★ Paper Documentation.
★ Translation.
★ Database Creation.
★ Data Conversion.
★ অনলাইন ডাটা এন্ট্রি।
★ অফলাইন ডাটা এন্ট্রি।
★ ওয়েন রিসার্চ।
★ ই-কমার্স প্রোডাক্ট লিস্টিং।
★ অ্যামাজন প্রোডাক্ট লিস্টিং।
★ এন্টারপ্রাইজ রিসার্চ প্লানিং ডাটা এন্ট্রি।
★ ডাটা স্কারপিং।
★ Data mining.
★ Primary Data Entry and secondary Data entry.
★ Copy paste job.
★ ডাটা এন্ট্রি ফ্রম স্ক্যান কপি।
★ ই-মেইল মার্কেটিং।
★ ইমেজ এডিটিং।
★ এইচটিএমএল ডাটা এন্ট্রি।

১. Ms-Excel Data Entry : কোম্পানি গুলো তাদের সেল, পারচেজ, কাস্টমার রিভিও, ফিডব্যাকসহ বিভিন্ন রকমের ডাটা গুলোকে এক্সেল সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সুবিধা অনুযায়ী ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা যায়। তাছাড়াও কোম্পানির প্রয়োজনে এক্সেলের মাধ্যমে এন্ট্রি করা ডাটা গুলোকে এড বা এডিট করা যায়। আর যারা এ কাজে বিশেষ পারদর্শী তাদেরকেই কোম্পানি হায়ার করার জন্য খুঁজে।

২. Spelling Checking : এই ধরণের কাজ গুলো মূলত ডাটা থেকে ভুল বের করে, ভুল কে সঠিকে রূপান্তর করাকেই বুঝায়। অর্থাৎ সহজভাবে বললে বলা যেতে পারে, আর্টিকেল, উপন্যাস, বই বা যেকোন টেক্সট কন্টেট ইত্যাদির বানান চেক করে ভুল কিছু থাকলে সেটাকে সঠিকে রূপান্তর করা।

৩. Job Posting : জব পোস্টিং মূলত মার্কেটপ্লেসের জব সার্কুলার কে বুঝানো হয়ে থাকে। বিভিন্ন জব পোর্টাল গুলোতে লোক হায়ার করা হয়ে থাকে চাকরির খবর গুলো পাবলিশ করার জন্য। অথবা আরো কিছু নিউজ পোর্টাল রয়েছে যেগুলোতে আর্টিকেল লিখে এবং জব সার্কুলার অনেক বেশি পাব্লিশ করা যায়।

৪. Paper Documentation : সহজ এবং জনপ্রিয় কাজ গুলোর একটি হলো পেপার ডকুমেন্টেশন। এই পেপার ডকুমেন্টেশন কাজ বলতে বুঝায় ডাটার হার্ড কপি অর্থাৎ কাগজে থাকা ডাটাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে এন্ট্রি করা বা নির্দিষ্ট স্থানে জমা দেওয়ার জন্য রেডি করা অথবা জমা রাখা। এ কাজের জন্য Ms-excel, ওয়ার্ড, ওয়ার্ড প্যাড এবং নোট পেডসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার হয়ে থাকে।

৫. Translation : Translation বলতে বুঝায় ভয়েস বা অডিও ফাইল থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে ডাটা সফট কপিতে রূপান্তর করা। এক্ষেত্রে ভয়েসের ভাষা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। লোকাল ভাষাতেও তা বদল করা সম্ভব।

৬. Database Creation : মূলত সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা গুলো ডাটাবেজ তৈরি করে। আর এ ধরণের ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ হয়ে যায়। ফিজিক্যাল নথিপত্র বা ডকুমেন্ট গুলোকে কম্পিউটারের মাধ্যমে জমা করা বা ডাটা এন্ট্রি কাজ করে সমস্যা সমাধান করা যায়।

৭. Data Conversion : ডাটা কনভারসন বলতে দাতার ফরমেট বদল বা এক ফাইল থেকে অন্য ফাইল ফরমেট এ স্থানান্তর কে বুঝায়। অর্থাৎ পিডিএফ থেকে ওয়ার্ড ফাইলে রূপান্তরের কাজই ডাটা কনভারসন কাজ হিসেবে বিবেচিত। কোম্পানিদের এ কাজের জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের দরকার পড়ে এবং তারা অপারেটর হায়ার করে থাকে।

৮. অনলাইন ডাটা এন্ট্রি : চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান যদি এন্ট্রিয়ার বা অপারেটর হায়ার করে যেরকম টাইপ করতে নির্দেশ দেয় তাহলে সেরকমই টাইপ করা লাগবে আর সেজন্য অনলাইন মাধ্যম বেছে নেওয়াটাই সহজ। কাজের ব্যাকআপের রিস্ক থাকেনা বরং সুরক্ষা বাড়ে। বড় সুবিধা হলো কাজ করা অবস্থায় পিসি – হার্ডডিস্ক ফন্ট করলেও কাজ সুরক্ষিত থাকে।

৯. অফলাইন ডাটা এন্ট্রি : পিসিতে থাকা ওয়ার্ড সফটওয়্যার মাধ্যমে যত খুশি ডাটা এন্ট্রি এবং সাবমিট করা যায়। এটির এত এত সুবিধা থাকলেও অসুবিধা হলো পিসি বা হার্ডডিস্ক ফল্ট করলে সব ফাইল মুছে যাবে।

১০. ওয়েব রিসার্চ : ওয়েব রিসার্চ বলতে গবেষণা করে তথ্য বের করা। বায়ার কোন ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে তথ্য বের করতে বললে সে অনুযায়ী কাজ করাই হলো ওয়েব রিসার্চ।

১১. ই-কমার্স প্রোডাক্ট লিস্টিং : বর্তমান যুগে ই-কমার্স এর চাহিদা আকাশচুম্বী। কাজের ক্ষেত্রে বায়ার ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্যের লিস্ট করতে বলা হয়। যেমন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের পণ্যের তালিকা করতে বলা হয়ে থাকলে ফ্রিল্যান্সাররা বায়ারের চাহিদা অনুসারে তাই করে থাকে। এছাড়াও বাকি সাইট গুলোর কয়েকটি হলো- দারাজ, আলিবাবা, বিডি ইত্যাদি।

১২. এন্টারপ্রাইজ রিসার্চ প্লানিং ডাটা এন্ট্রি : কোম্পানি, ব্যাংক, বীমাসহ যেকোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে ডাটা এন্ট্রি করতে হয়, আর এসব পুরা সপ্তাহ , মাস এবং বছরের এলোমেলো ডাটা গুলো সাজিয়ে দেওয়ার জন্য বায়ার লিংক দিয়ে থাকে।

১৩. Data scarping : Scarping বলতে ছেঁটে ফেলা। বায়ারের দেওয়া তথ্য মতে নির্দেশনা মেনে যা প্রয়োজনীয় তা রেখে বাকি সব ছেঁটে ফেলা হলো data scarping.

১৪. Data Mining : বায়ারের দেওয়া তথ্য থেকে হিবিজিবি তথ্য থেকে সাজিয়ে গুছিয়ে ডাটা কে এন্ট্রি করা’ই হলো Data Mining.

১৫. Primary Data entry Secondary Data Entry : প্রথম ধাপের ডাটা কালেকশনকে প্রাইমারি ডাটা বলে অবহিত করা হয় যা অস্থায়ী বা অগোছালো ধরণের হয়ে থাকে। বায়ার কোন স্থানের কোন কিছুর লিস্ট দিতে বললে সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে সেই স্থানের নির্দিষ্ট জিনিসের লিস্ট তৈরি করে সাবমিট করা।

আর সেকেন্ডারি হচ্ছে প্রাইমারীর পরের ধাপ। সহজ ভাবে বললে হিবিজিবি ডাটা কালেকশনের পরের ধাপ যেটি প্রাইমারী থেকে শর্ট লিস্ট করা হয় সাজিয়ে গুছিয়ে। অর্থাৎ ফ্রেশ লিস্ট।

১৬. কপি পেস্ট জব : কম্পিউটার জানা মানুষদের জন্য সবচেয়ে সহজ কাজের মধ্যে কপি পেস্ট অন্যতম। বায়ারের নির্দেশনা এবং চাহিদা মত বিভিন্ন জায়গা থেকে কপি করে বায়ারের সাইটে পেস্ট করাই হলো কপি পেস্ট জব। উল্লেখ যে কপি পেস্ট করাই মূল না। কপি পেস্ট করে এডিট করে সেই সাইট গুলোর মত নিজের সাইট তৈরি করাকেই বুঝায়।

১৭. ডাটা এন্ট্রি ফ্রম স্ক্যান কপি : স্ক্যান মেশিন দিয়ে হুবহু কপি করে কারো চাহিদামত এডিট করে অন্যস্থানে স্থানান্তর অথবা ফটোকপির মত কপি বের করাই হলো ডাটা এন্ট্রি ফ্রম স্ক্যান কপি।

১৮. ই-মেইল মার্কেটিং : বায়ারের ই-মেইল পড়ে বুঝে কাস্টমারকে রিপ্লাই করা। আবার বায়ারের নির্দেশমত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল এড্রেস ও কালেক্ট করে দিতে হবে।

১৯. ইমেজ এডিটিং : ফটোশপ, ইলেস্টটর অথবা পেইন্ট এর কাজ জানা থাকলে এটি আপনার জন্য অনেক সহজ একটি কাজ। বায়ারের নির্দেশমত বিভিন্ন ছবিতে কিছু মুছে ফেলা এবং কিছু যুক্ত করাই হলো ইমেজ এডিটিং।

২০. এইচটিএমএল ডাটা এন্ট্রি : html মূলত Hypertext Markup Language যেটি language of computer অথবা কম্পিউটারের ভাষা হিসেবে বিবেচিত। এই কাজ হলো মূলত কম্পিউটারের ভাষা বুঝে কোড বের করে সফটওয়্যারে সেট করা।

ডাটা এন্ট্রি কাজ করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?

মানুষের প্রচুর আগ্রহের বিষয় হিসেবে বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রি একটি আলোচিত বিষয়। প্রতিটা কাজের যেহেতু দক্ষতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন থাকে তেমনি ডাটা এন্ট্রির ও রয়েছে। ডাটা এন্ট্রিতে অনেক প্রজেক্টের উপস্থিতি বিদ্যমান কিন্তু প্রয়োজনীয় দক্ষতা তেমন একটা দেখা যায়না। প্রয়োজনীয় যোগ্যতার মধ্যে তিনটি উল্লেখযোগ্য।

১. দ্রুত টাইপিং দক্ষ হতে হবে এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনায় পারদর্শী হতে হবে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হওয়ার জন্য নির্ভুল টাইপিং এবং স্পিড ভালো হওয়া জরুরী।

২. ইংরেজী ভাষা এবং গ্রামারে ভালো দক্ষতা থাকা জরুরী কেননা এটি ইংরেজি ভাষাতেই হয়ে থাকে। যদিও অন্যান্য ভাষার ব্যবহার ও রয়েছে তবে ইংরেজি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

৩. কম্পিউটারের বেসিক অথবা কম্পিউটার ভিত্তিক জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং এক্সেলে পূর্ণ দক্ষতা। এছাড়াও রিসার্চ, ওয়েবসাইট, ফোরাম এবং ওয়েব ডাইরেক্টরি সম্পর্কে ভালো ধারণা।

এখানে উল্লেখ্য বিষয় হলো- অফলাইনে অর্থাৎ কোন কোম্পানিতে চাকরি করতে হলে উপরিউক্ত বিষয়ে দক্ষতা ছাড়াও বড়বড় ডিগ্রীর প্রয়োজন রয়েছে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার ক্ষেত্রে। আর অনলাইনে কোম্পানির বাইরে রিমোট জব বা মার্কেটপ্লেসে কাজ করার ক্ষেত্রে বড় ডিগ্রীর প্রয়োজন হয়না।

ডাটা এন্ট্রি করে আয় করবেন কিভাবে?

নির্দিষ্ট স্থান থেকে ডাটা স্থানান্তর কে ডাটা এন্ট্রি বলা হলেও এটি অনেক ধরণের তথ্য হতে পারে। হাতের লেখা থেকে তথ্যকে কম্পিউটারের মাধ্যমে অন্য কোথাও পাঠানো বা পোগ্রামের ডাটা স্প্রেডশিট ফাইলে স্থানান্তর করা। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমেও ডাটা এন্ট্রির কাজ করা সম্বব। সেক্ষেত্রে স্মার্টফোন প্রয়োজন।

কেননা কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে মোবাইল দিয়েও ডাটা এন্ট্রির কাজ করা সম্ভব। আর ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো 2 Captcha. এটি ছাড়াও আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে কাজ করা যায় ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে।

১. রিসার্চে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। অর্থাৎ ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজার মত দক্ষতা এবং খুঁজে পেয়ে সৃজনশীল মনোভাব দিয়ে কার্য পরিচালনা করতে হবে।
২. ইংরেজীতে দক্ষতা।
৩. নির্ভুল এবং দ্রুত টাইপ করার ক্ষমতা থাকা আবশ্যক।
৪. ওয়েবসাইট এবং ফোরামসহ এ ধরণের বিষয় গুলোতে ভালো ধারণা।
৫. কম্পিউটারের বেসিক এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও এক্সেলের সঠিক ব্যবহার জানা।

একজন ব্যক্তির ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হওয়ার জন্য এসব বিষয় জেনে এগুলার মাধ্যমে কাজ শুরু করা খুবই সহজ। এটি করে উপার্জনে অনেক সময় লাগে কারণ সহজ কাজ হলেও প্রতিযোগী অনেক। আর যখন মানুষ একবার কাজ পায় তখন ভালো কাজ সাবমিট কর‍তে পারলে বাকিসব কাজের জন্য বায়ার তাকে খুঁজবে। আর এখান থেকে শত থেকে হাজার ডলার উপার্জন করা যায়। আর এই প্রজেক্টে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যতা মার্কেটিং স্কিল যাদের আছে তাদের।

ডাটা এন্ট্রির কাজ কিভাবে পাবো?

ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) বলতেই মানুষ বুঝে থাকে লেখালেখি অথবা টাইপিং এর কাজ। মূলত এই ডাটা এন্ট্রি অনেক কাজের সাথে জড়িত। অর্থাৎ অনেক কাজের সম্বলিত নাম হলো “ডাটা এন্ট্রি (Data Entry). আর এ কাজ গুলো মূলত ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর মার্কেটপ্লেস গুলোতে পাওয়া যায় এবং লোকাল মার্কেট তথা ফেসবুক গ্রুপ গুলাতেও পাওয়া যায়। এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে ফি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে ঠিকভাবে কাজ করতে পারলেই মিলছে ডলার।

কিন্তু রেজিষ্ট্রেশনের আগে যেহেতু বলা যাচ্ছেনা কোন সাইট গুলো ভালো বা কোথায় কাজ পাওয়া যায় সে সাইট গুলোতে প্রথম পর্যায়ে রেজিষ্ট্রেশন না করাই ভালো। যে মার্কেটপ্লেসে।কাজ পাওয়া যায় সে সাইট গুলো হলো:

১. Fiver.com জনপ্রিয় এবং প্রসিদ্ধ একটি হলো Fiver যেটি ফ্রিল্যান্সারদের আস্থার স্থান। যেখানে হাজার হাজার ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায় এবং টাকা তোলাও যায়। এখানে কাজ করতে চাইলে গিগ তৈরি করে নিতে হবে এবং সেই গিগ ভালো মানের হলে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন শুরু হয়ে যেতে পারে। গিগের মাধ্যমে নিজের প্রতিভা অন্যের কাছে তুলে ধরলে যাদের যা প্রয়োজন সে অনুযায়ী অপারেটরদের কাজ দিয়ে থাকে। কমপক্ষে ৫ডলার করে দেওয়া হয়। ডাটা এন্ট্রিতে দক্ষ হয়ে থাকলে ১৫০-২০০ ডলার আপনার হাতের কাছেই।

২. Freelance. ওয়েবসাইট http://www.GetAFreelance.com সুপরিচিত ডাটা এন্ট্রির ওয়েবসাইট গুলোর একটি হলো এটি। এটি আপওয়ার্কের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিচালিত হয় আসছে। উন্মুক্ত এই প্লাটফর্মে এপ্লাইয়ের জন্য কোন রকম পে করতে হয়না।

৩. Upwork.com ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয় সাইটগুলোর একটি হলো এই আপওয়ার্ক। এখানে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইনসহ সকল সেক্টরের কাজ পাওয়া যায়।ঘরে বসে নিজের পছন্দমত কাজ করে টাকা উপার্জনের সুন্দর মাধ্যম এটি।

৪. People Per Hour যুক্তরাজ্যের অনলাইন ভিত্তিক প্লাটফর্ম হলো পিপল পার আওয়ার। যে প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সারদের ঘরে বসে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক অনেক সুযোগ প্রদান করে থাকে। যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা স্বাধীন এবং কাজের ক্ষেত্রেও স্বাধীন। এটি আপওয়ার্কের মত হলেও আপওয়ার্কে টাকা প্রদান করতে হয় কিন্তু এখানে কোন ধরণের টাকা প্রদান করতে হয়না।

৫. Guru.com বিশ্বের নামকরা ফ্রিল্যান্স প্রতিষ্ঠানের একটি হলো গুরু ডট কম। ফ্রিল্যান্সাররা নিজ ইচ্ছামত চাহিদামত এখানে কাজ করতে পারে। এখানে কিছু সেক্টর ফ্রি অর্থাৎ কোন ফি দেওয়া লাগেনা এবং কিছু সেক্টরে ফি দেওয়া লাগে। সুবিধা অনুযায়ী ফি দেওয়া লাগে এবং কিছু সেক্টরে দেওয়া লাগেনা।

৬. ফ্লেক্সজবস ডাটা এন্ট্রি সেক্টরের জন্য Flexjobs একটি পরিচিত প্রতিষ্ঠান। এখানে একাউন্ট ফ্রি খোলা গেলেও কাজের জন্য ফি প্রদান করা লাগে।

ODesk. ওয়েবসাইট http://www.odesk.com, Scriptlance ওয়েবসাইট http://www.ScriptLance.com, Http://www.GetACoder.com এই ওয়েবসাইট গুলোতে প্রতি এক হাজার ডাটা এন্ট্রি সেক্টরে নির্দিষ্ট ডলারের ভিত্তিতে কাজ দেওয়া হয়। এগুলো এমন ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস যেখানে ডাটা এন্ট্রির জন্য আলাদা বিভাগ থাকে।

আর সে জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কাছে প্রিয় সাইট এটি। আরো কিছু জনপ্রিয় সাইট: Amazon’s mechanical turk service, Craigslist এ ও ডাটা এন্ট্রি কাজে বিশেষ চাহিদা রয়েছে।

ডাটা এন্ট্রি কাজের ভবিষ্যৎ কেমন?

ডাটা এন্ট্রিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ এটা ভেবে থাকে। এখানে একটা কথা না বললেই নয় এক সময়ে মানুষ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে অনেক টাকা আয় করতো আর এখন সে কাজ খুব সহজেই করা যায় সফটওয়্যারের মাধ্যমে, সেজন্য এখন আর এই সেক্টরে মানুষ টাকা পায়না। সুতরাং যদি এখনো কাজ গুলার নতুন পন্থা বের হয় তাহলে কেউই এত টাকা দিয়ে কাজ করাবেনা।

অতএব, আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি মানুষ কঠিন সবকিছুর সহজ পন্থা বের করে। আর এই সেক্টরের সব কাজেই সহজ পন্থা বের করা পর্যন্তই মানুষ কাজ করে টাকা পায়। তথ্য প্রযুক্তির এই ক্রম বিকাশের সাথে তথ্য ব্যবস্থাপনা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে সাথে সাথে দক্ষ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের চাহিদা অনেক।

তবে কাজ যতটা সহজ হচ্ছে মানুষ চাকরি হারাচ্ছে ঠিক ততটাই নতুন কাজ আসছে মানুষ কাজের ক্ষেত্রে ততটাই উপচে পড়ছে। ইন্টারনেটের কারণে অপারেটররা একা এবং দলগত কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে এবং ঘরে বসেই কিশোর যুবক থেকে শুরু করে যে কেউ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে।

সমাপিকা

অনলাইন জগতে ডাটা এন্ট্রি সহজ কাজ হলেও প্রতিযোগী অধিক। সেজন্য কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা দিতে হয়। আর কোথাও কাজ করার ক্ষেত্রে যেসব দিকে খেয়াল রাখা আবশ্যক সেসব হলো- এটি সত্যিকারের প্রতিষ্ঠান কিনা তা যাচাই করতে হবে। পূর্ণ ঠিকানা, ডোমেইন নেইম, পরিচিতিসহ বিভিন্ন কিছুর প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। কেননা এ জগতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। ডাটা এন্ট্রি কি | অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয় এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url